Friday, April 26, 2024

ভুল দর্শণ


 


একটি ছেলে একটি মেয়ের পরিচয় হয় ফেইসবুকে

পরিচয়ের ১ম দিকে ছেলেটি মেয়েটিকে ভালভাবে যাচাই করে নেয় সেটি ফেইক আই,ডি কি না কেননা এখন যে অবস্থা পোলাপান মেয়ে সেজে ছেলেদের সাথে প্রেম করে
যাই হোক তো যা বলতে ছিলাম
ছেলেটি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে চলছে ...
আর ছেলের এই ধরনের আচরণ দেখে মেয়েটি ছেলেটিকে ভুল বুজতে শুরু করল ...
এক পর্যায়ে ছেলেটি মেয়েটিকে সত্যিকারের মেয়ে হিসেবে আবিষ্কার করল
তার পর থেকে আসতে আসতে মেয়েটির প্রেমে পরতে থাকলো ...
মেয়েটির প্রতি ছেলেটি এমন এক পর্যায়ে চলে গেছে যে একদিন কথা না বলে থাকতে পারে না
প্রতিটি মুহূর্তে মেয়েটি মিস করতে শুরুকরে কিন্তু বেচারা তার ভালবাসার কথা মেয়েকে বিভিন্ন ভাবে বুঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ আবার সরাসরি বলতে ও পারছে না ...
তারপর একদিন এক বুদ্ধি আবিষ্কার করলো যে সেই মেয়েটি কে একটি ছবি দিবে যেখানে অনেক গুলো মেয়ে থাকবে এবং তাদের ভিতর সেই মেয়েটি ও থাকবে বলবে যে তার জন্য একটি মেয়ে পছন্দ করতে ...
ছেলেটি তার চিন্তা অনুযায়ি কাজ শুরু করলো মেয়েটিকে ছবি পাঠালো এবং পছন্দ করতে বলল কিন্তু মেয়েটি তখন ও বেচারা ছেলেটির মনের কথা বুজলো না না বুঝে অন্য একটি মেয়েকে পছন্দ করে দিল
জিএম কে আবার ও হতাস করে দিল সেই নীলিমা নামের মেয়েটি
মেয়েটির আরেকটি কথা বলা হয় নাই সেটি হচ্ছে মেয়েটি কে অনেক গুলো মেসেজ দিলে মেয়েটি অনেকক্ষণ পর একটা রিপ্লে দিত
মেয়েটি সব সময় এমন করত
ছেলেটি একদিন বার বার মেসেজ দিচ্ছে কিন্তু মেয়েটি রিপ্লে দিচ্ছে না
ছেলেটি কষ্ট পেয়ে মেয়েটি কে অভিমান করে বলল তুমি এত অহংকার কর কেনো রিপ্লে দাউ না কেনো
তখন মেয়েটি রেগে গিয়ে ছেলেটিকে ফালতু বলল আর ছেলেটি ও রাগ করে ফালতু প্রতি উত্তর দেয়
আর তার পর ছেলেটি আবিষ্কার করলো যে মেয়েটি নাম নীল রঙ থেকে কালো রঙ্গের হয়ে গেছে
আর মেসেজ লিখার খালি বক্স আর বক্সের সাথের Reply বাটন টা ও উধাও ...
আবশেষে ছেলেটি মেয়েটি কে মেসেজ করতে সম্পূর্ণ ভাবে ব্যর্থ হয়ে গেলো
আর তার ভালবাসা ও শুরুর আগেই শূন্যে বিলীন হয়ে গেলো

বাস্তবতা




 অষ্টম শ্রেণীতে থাকতে বালিকাকে বললাম,

আমি তোমাকে ভালোবাসি।
বালিকা বললো, ভালোবাসা কি?
হতাশ হলাম না।বালিকাকে ভালোবাসা বুঝার জন্য বড় হতে দিলাম।
দশম শ্রেণীতে থাকতে বালিকাকে বললাম,
বালিকা তোমায় খুব ভালোবাসি।
বালিকা বললো,আমিও তোমাকে খুব খুব খুব ভালোবাসি।
এত্তো ভালোবাসে?
অবাক হলাম না।তখন ছিলো আবেগের বয়স।
ইন্টার ২য় বর্ষে থাকতে বালিকাকে বললাম,বালিকা সত্যিই তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
বালিকা বললো, সত্যি করে বলো একথাটা ক'জনকে বলছো?
ভাবলাম মেয়েরা সন্দেহ প্রবন কেন?
অনার্স ২য় বর্ষের সময় বললাম,
বুড়ি তোকে খুব ভালোবাসি।
বালিকা বললো,দেখো এখন আবেগের সময় না।ভালোই যদি বাসো তো আমায় বিয়ে করে ফেলো।
বালিকার কন্ঠটা বিজ্ঞদের মতোই মনে হয়েছিল।সে ভালোবাসা নিয়ে সিরিয়াস।
অনার্স ৩য় বর্ষের সময় বললাম,
আমি তোমাকে ভালোবাসি।
বালিকা বললো, আজ সাত বছর থেকে একই কথা বারবার শুনে আসছি।কই একবারওতো বললে না বিয়ে করবে?
আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।ভালো থেকো।
এবার নিশ্চুপ রইলাম।যদি ওকে বিয়ে করি তাহলে আমরা খাবো কি?চাকুরী পাবো কই?
গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করে সবে চাকুরীতে জয়েন করছি।
বিয়ে করার প্রস্তুতি চলছে।কারন এখন আমি বেকার নই।সবই আছে শুধু বউ প্রয়োজন!
বালিকার খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম,
বালিকা এখন দু'সন্তানের জননী।
অতঃপর সক্রেটিসের মতো দার্শনিক হয়ে গেলাম এবং উপলব্ধি করতে পারলাম।
"আমার বিয়ের পাত্রী নিশ্চই এখন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।"

”সন্দেহ”




ঢিলেঢোলা শার্ট আর রঙ্গজ্বলা জিন্স প্যান্ট পরে হেঁটে যাচ্ছিল ছেলেটি।হাতে স্প্রাইটের কাঁচের বোতল।টহলরত পূলিশদের নজর পড়তেই পাকড়াও করলো ছেলেটিকে।
-এই ছেলে বোতলে কি?
-ইয়ে মানে.....
-বল কই যাচ্ছিলি?
-স্যার হাসপাতালে।
-কত্ত বড় নিষ্ঠুর তুই শেষ পর্যন্ত হাসপাতালেও।
-বুঝলাম না স্যার।
-সত্যি করে বল তোর হাতে এসব কে তুলে দিয়েছে?
-আমার দাদি।
-বলে কি এসব? আর কার কার হাতে তুলে দিয়েছে?
-পরীক্ষা করার জন্য আমাকেই দিয়েছে।
-ওই একে থানায় নিয়ে চল।ওরে দুইটা দিলে সবগুলার খোঁজ মিলবে।
-কেন স্যার আমি কি করলাম?
-হাতে পেট্রোল নিয়ে ঘুরো আর বলছো কি করেছো?
-না স্যার এগুলো পেট্রোল না।
-আমাকে বোকা পেয়েছিস?
-আপনি দেখেন।
চিপিটা খুলে এসআই সাহেব নাকের কাছে নিয়ে ভালো করে শুকলো।অতঃপর....
-কি ঝাঝালোরে বাবা!বল তোদের দলের লিডার কে?
-কিসের লিডার স্যার?
-কিছু বুঝতাছস না তাইনা?ওরে পাছার নিচে দুইটা দে।
-বিশ্বাস করেন স্যার এগুলো পেট্রোল না।
-তাহলে কি এগুলা?
-ইয়ে মানে......
-বল।
-""আমার দাদু একেবারেই বৃদ্ধতো।ডাক্তার বলেছে প্রস্রাব পরীক্ষা করাতে হবে।তাই ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলাম।এগুলো প্রস্রাব""।
অতঃপর এসআই সাহেব ওয়াশরুমে।